Online Magazine

আঁধার-আলো


                                                    

                                      আঁধার-আলো
                           ধূপছায়া মজুমদার চক্রবর্ত্তী



আমায় তুমি বারণ করেছিলে                    
                                                    তাই আমি সামনে যাইনা আর
       কোণের এই ছোট্ট ঘরটাতেই                
                                                   আমার এখন সংসার।
       ঘরের জানলা খুললে                                
                                                  দেখি  তোমার রাজপ্রাসাদ
      ওখানে তো শুধুই আলো
                                                 থাকতে নেই বিষাদ।
      আমার ঘরে একলা প্রদীপ
                                                 আলোর থেকে আঁধার বেশি
    তবুও তুমি অবাক হলে,
                                                 দেখে আমার অবুঝ হাসি।
     কিসে যে হয় এত খুশি,
                                                  আমিও সব বুঝিনা গো
     শুধু জানি আসবে কেউ,
                                                  ডাকবে এসে "কে জাগো?"
     অচেনাকে চিনবো যেদিন
                                                   জ্বলবে আলো আমার ঘরে
    তোমার দেওয়া সোনার শিকল
                                                   ভাঙ্গবে সেদিন শব্দ করে।
      স্বপ্নটুকু দেখবে বলেই
                                                   রাত্রি আসে আমার ঘরে
     আমার কাছে মাটির প্রদীপ
                                                   একলা জাগে অন্ধকারে।




                             



প্রবাসীর চিঠি

                                                        

                                                        
                                              প্রবাসীর চিঠি 
                                
                                            শ্বেতা রায়চৌধুরী

সুবু রে,

 আজ আমি শস্য শ্যামল সবুজ রূপসী বাংলার থেকে অনেক দূরে কিন্তু মন পড়ে আছে ওখানেই। দুর্গাদালানে রথের দিনে কাঠামো পূজো, তার উপর মাটি দিয়ে দেবী দুর্গার মৃন্ময়ী রূপ আর মহালয়াতে দেবী পক্ষের সূচনার শুভ লগ্নে দেবীর চোখ আঁকা, সব বেশ উপভোগ করছিস, কি বল। আর আমি! সেই সব থেকে বহুদূরে বসে ফেলে আসা দিনের স্মৃতি রোমন্থন করছি।

আজ যেন বেশি করে মনে পড়ছে সেই ছোটবেলার কথা। সেই কাঠামোতে মাটি লাগানোর দিন থেকে শুরু হত আমাদের দুর্গাদালানে যাতায়াত। পালজেঠু কি করলেন সেই দেখতে প্রায় দিনই ভিড় করতাম। নীল আকাশে সাদা মেঘের আনাগোনা দেখলেই আর স্কুলে বইয়ে মুখ গুঁজে বসে থাকতে ভাল লাগতো না। মনে হত ওই সাদা মেঘের মত করে উড়ব। তারপর ক'দিন, সে কি আনন্দ!

সোনালী হয়ে আসা ধানের ক্ষেত আর সাদা কাশ ফুল দেখলেই বুঝতাম পুজো আসছে। বাবার দেওয়া নতুন জামাটার গন্ধ শুঁকতাম বার বার। পুজোর পাঁচটা দিন যে কোনদিক দিয়ে চলে যেতো কে জানে... কোন বাধা নেই, বারণ নেই, পড়া নেই... শুধুই মুক্তির গন্ধ। মনে পড়ে? অষ্টমীর দিন প্রত্যেকবার তোর, আমার আর তিতিরের উপর ফুল তোলার ভার দেওয়া থাকত। শিউলি, টগর আরও কত ফুল তুলতাম আমরা। সন্ধ্যারতির সময় ধুনুচি নৃত্য আর রাত জেগে নাটক দেখা– আজ যেন সব গল্প মনে হয়।

দশমীর দিনটা একটু মন খারাপ করত কিন্তু বিজয়ায় মিষ্টির লোভটা যেন সেটা একটু কম করে দিত। আর বিসর্জনের সময় কি খারাপই না লাগতো মনটা! মনে হত নিজের মা-ই দূরে কোথাও চলে যাচ্ছে অনেক দিন বাদে ফিরবে। এই অনেক দিন বাদে ফিরে আসবে এই আশা নিয়ে আবার পরের পুজোর অপেক্ষা করতাম।

এখানেও পুজো হয়। খুব ভক্তি ভরেই হয়। সবাই পুজোর কটা দিন আনন্দেই কাটাই। কিন্তু বাংলার সব কিছুই খুব আপন। দূর্গাপুজোর সময় নীল আকাশ থেকে ছোট্ট ঘাসও নিজেদের সুন্দর করে সাজায়। সকলের স্বতঃস্ফূর্ত মনের আবেগ মিলে মিশে একাকার হয় এই পুজোর সাথে। এখানে আমরা পুজো কবে জানি ক্যালেন্ডার দেখে। আর তোরা জানিস প্রকৃতির সাজ সাজ রবে, নির্মেঘ নীল আকাশটা দেখে।

আমার চিঠি পড়তে পড়তে হয়ত ভাবছিস আমি বদলে যাওয়া সময়ের কথা ভুলেই গেছি। জানি রে এখন মানুষের মনের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সাজগোজ, জামাকাপড়, প্রতিমা, প্যান্ডেল সবই বড্ড বেশি বাণিজ্যিক। শহরে এখন একটা রুমালের মাপের ঘোলাটে আকাশ দেখা যায়। শিউলি, কাশ চাপা পড়ে গেছে বহুতল বাড়ির ভিড়ে। আর গ্রামের দারিদ্র‍্য ঢেকে দিয়েছে শরৎকালের গ্রামীণ সৌন্দর্য। এতটা বাণিজ্যিক হওয়ার পরও কোথাও যেন একটা পুজোর গন্ধ, মনের আবেগ আর প্রাণের টান এখনও আছে।

বার বারই মনে পড়ছে ছোটবেলায় পড়া রবিঠাকুরের কবিতাটা–
যেদিকে তাকাই সোনার আলোয়
দেখি যে ছুটির ছবি
পূজার ফুলের বনে ওঠে ওই
পূজার দিনের রবি।।

এবারে আর যাওয়া হলো না রে। ছুটি পেলামনা। তুই খুব আনন্দ করিস পুজোয়। বাড়িতে দূর্গাপুজো কেমন হল জানাবি।

শুভ শারদীয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল।

                                                                                  – তোর প্রবাসী বন্ধু মিঠাই ।।

নিজেদের শহরের কথা জানাও ইপিল-কে






এবার তোমাদের কাছে নতুন অনুরোধ নিয়ে এলাম।

পুজো আসছে। আমাদের সবার শহরই সেজে উঠছে নিজের মতন করে। সেজে ওঠা শহরগুলোর আটপৌরে চেহারা কেমন? নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আর রূপ নিয়ে বিভিন্ন শহরের সারাটা বছর কাটে কেমন করে?

কোনো শহরের পাশেই সমুদ্র, কোনো শহরের সঙ্গী হাজার বছরের পুরনো ইতিহাস। কোনো শহর আবার হয়তো জিভে জল আনা কোনো স্বাদের জন্মস্থান। নানা রঙের এইসব শহরে ছড়িয়ে আছো তোমরা,  ইপিল-এর বন্ধুরা।

তোমরা নিজেদের মন-কলমে নিজেদের শহরের কথা লিখে ইপিলকে জানাও। 'আমার শহর'- এই শিরোনামে বিভিন্ন শহরের কথকতা ইপিলের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে কাছে-দূরের আরো অনেক বন্ধুর কাছে।

লেখা পাঠাও এই Email ID তেঃ eepil.thestar@gmail.com



বর্ষার ছবি


আয় বৄষ্টি ঝেঁপে
Photo by Prasun Ghatak

গগনে গরজে মেঘ...
Photo by Prasun Ghatak



মরা নদী - (The dead river)


                                                                 






                                                                    মরা নদী  - (The dead river)

                                                                               - শ্বেতা রায় চৌধুরী



কে এসেছিল বেয়ে
কার পথ চেয়ে
বাঁধা পড়ে আছে নৌকা?

হয়ত  বা জলে
স্রোত নেই  বুঝে
মাঝি হেঁটে পারে 
বাসা ফিরে গেছে।
নৌকা পেয়েছে নতুন ঠিকানা
মরা নদীটার বুকে।

আজ কেউ নেই পারে।
জল গেছে কমে
নদী গেছে মরে,
তরঙ্গ?
হায়! নদী ভুলে গেছে।

সরে গেছে গ্রাম নদী থেকে আজ
বহু বহু  দূরে।


বিস্তৃত চর বিদ্রুপ করে,
জল ছোঁয়  মাটি লজ্জায়
একাকী নদী দোসর পেয়েছে
ছোট  একখানি  নৌকায়।

হাওয়া যদি ভুল করে এসে 
ছুঁয়ে যায় সেই জল
দোলা লাগে মরা নদীর বুকে 
দোল খেয়ে যায় নাও।

SHELTER-এর কিছু কথা




পনেরোই আগস্টের সকাল। একটু পরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হবে। তারই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বিভিন্ন বয়সের ছাত্রছাত্রীরা। নাচের পোশাক, পতাকা উত্তোলনের আয়োজন, অভিভাবকদের যত্ন-আত্তি, সবকিছুর তদারকিতে ব্যস্ত ওরা।

ওরা কারা জানো? যাদের আমরা বিশেষভাবে সক্ষম মানুষ আখ্যা দিয়ে কিছুটা সহানুভূতি আর অনেকটা কৌতূহলের দৄষ্টিতে দেখতে অভ্যস্ত, ওরা সেইসব মানুষজন, যারা নানা প্রকারের শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতাকে আজন্ম সঙ্গী করে নিরলস চেষ্টা করে চলেছেন ভাল থাকার ও আশপাশকে ভাল রাখার।

ওদের এই চেষ্টার সঙ্গী বেশ কিছু সংস্থার মধ্যে একটি হলো SHELTER: Society for Help, Education, Love, Training and Employment for the Retarded.

1992-র সেপ্টেম্বরে পাঁচজন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে তাদের পথে যাত্রা শুরু Shelter-এর। সংস্থার সচিব শ্রী অশোক চক্রবর্তীর হুগলী জেলার ভদ্রেশ্বরের বাড়িতে একঝাঁক নতুন শিক্ষক-শিক্ষিকার উদ্দীপনায় গড়ে ওঠে এই ডে কেয়ার সেণ্টার ও বিশেষ শিক্ষার স্কুলটি। কুড়ি বছর পেরনো সংস্থাটির বর্তমান ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় দেড়শো।

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের ফা৺কে ফা৺কে শ্রী চক্রবর্তীর কাছে জেনে নিচ্ছিলাম ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের কিছু কথা।

গঙ্গার ধারে মনোরম পরিবেশে বাগান দিয়ে ঘেরা সংস্থাটিতে রয়েছে নানা পরিষেবার আয়োজন। বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য স্কুল, ভোকেশনাল ট্রেনিং সেণ্টার ও ওয়ার্কশপ, কাউন্সেলিং ও বিভিন্ন ধরনের থেরাপির ব্যবস্থা-সমেত বিশেষ ক্লিনিক, এসবই SHELTER-এর কর্মসূচীর অঙ্গ।

স্কুলে আসা প্রত্যেক ছাত্র ও ছাত্রীর প্রয়োজন ও দক্ষতা অনুসারে চলতে থাকে তাদের দৈনন্দিন শিক্ষা ও কর্মসূচী। অভিভাবকদের জন্যও থাকে নানা ব্যবহারিক পরামর্শ। এভাবেই নানা কাজে, তা সে নিজের ও বাড়ির লোকের পোশাক-আশাকের যত্ন নেওয়া, ঘর পরিষ্কার রাখাই হোক, বা, সবজি কাটা, বাজার করা, টাকা-পয়সার হিসাব রাখা, যে কোন কাজেই ওরা সবাই আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন।

কারিগরী দক্ষতায় আত্মবিশ্বাস আর নৈপুণ্য গড়ে দেয় ভোকেশনাল ট্রেনিং সেণ্টার ও ওয়ার্কশপ। হস্তশিল্পের বিভিন্ন ধরন নিয়ে এখানে ছাত্রছাত্রীরা কাজ করেন। পুরনো কাপড় দিয়ে তাঁতে বোনা বিভিন্ন জিনিস, পর্দা, পাপোষ, কাপড় ও কাগজের ব্যাগ, পাট দিয়ে তৈরি ব্যাগ, ঘর সাজানোর সামগ্রী, ক্যালেণ্ডার, বিভিন্ন স্বাদের আচার, টোম্যাটো সস - এইসবকিছুই ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের তৈরি। এক-একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে হস্তশিল্পের বিভিন্ন শাখায় সক্ষম হয়ে ওঠেন ওরা। 

কারিগরী শাখা সৄজনী বছরে দুবার স্কুল-চত্বরে প্রদর্শনী আয়োজন করে, বিশ্বকর্মা পূজা ও সরস্বতী পূজার দিনে।

SHELTER-এর সদস্যদের আরেকটি উল্লেখযোগ্য কর্মসূচী হলো ভদ্রেশ্বর এলাকায় CESC Electricity Bill Distribution Projectপ্রায় ২২০০০ বিদ্যুত-বিল বিতরণের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি ছাত্রছাত্রীরা নিয়মিত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেন। এই কর্মসূচী যে ওদের আত্মবিশ্বাস আর আয় বাড়ায় তা-ই নয়, ভদ্রেশ্বর এলাকার ২২০০০ পরিবারে বার্তা পৌঁছে দেয় ওরাও পারে, সবরকম প্রতিবন্ধকতা নিয়েও ওরা পারে, ওদের এই পারার গল্প লোকের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে।

লেখাপড়া, কাজ শেখা এসবের পাশাপাশি সমানতালে চলতে থাকে সাংস্কৄতিক কাজকর্মও। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরে বার্ষিক অনুষ্ঠানে তো বটেই, সারা বছর ধরেই স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ, গান, আবৄত্তি, নাটকের আয়োজন করেন এখানকার সদস্যরা।

সাধারণত, একটি শিশুর জন্মের পর যদি জানা যায় তার বিশেষ প্রশিক্ষণ ও যত্নের প্রয়োজন রয়েছে, তখন অনেকক্ষেত্রেই প্রাথমিকভাবে শুরু হয় ভাগ্যকে দোষারোপ করা। এইভাবে শিশুটির জীবনের অনেকখানি মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যায়। যখন বাস্তবকে স্বীকার করে নিয়ে শিশুর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের দিকে নজর ফেরানো হয়, ততদিনে পারিপার্শ্বিক থেকে তার শিক্ষাগ্রহণের ক্ষমতা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। 

যদিও ছবিটা বোধহয় ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে। কথা হচ্ছিলো স্কুলের জন্মলগ্ন থেকে সঙ্গে থাকা শিক্ষিকা শ্রীমতী চায়না রায়ের সাথে। তাঁর কাছে জানা গেলো সময়ের সাথে সাথে SHELTER-এ আসা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেড়েছে। অর্থাৎ শিশুর বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন অভিভাবকরা অনেক আগেই অনুভব করতে পারছেন। এটি নিঃসন্দেহে জনচেতনাবৄদ্ধির সুফল এবং যেকোনোরকম প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জন্মানো শিশুদের ভবিষ্যতের পক্ষে সুলক্ষণ।

যাত্রা শুরুর দিন থেকে সঙ্গে থাকা আরেকজন শিক্ষিকা শ্রীমতী রঞ্জনা গাঙ্গুলি শোনালেন হোস্টেলের গল্প। ওনার তত্ত্বাবধানে রয়েছে ছেলেদের জন্য ত্রিশ শয্যাবিশিষ্ট একটি তিনতলা হোস্টেল। জানা গেলো হোস্টেলে রয়েছেন সুদূর রায়গঞ্জ, শিলং থেকে আসা ছাত্ররাও। আবাসিক ছাত্রদের সাথে হোস্টেল সুপার রঞ্জনাদির সম্পর্ক এতটাই নিবিড় যে ওনাকে ছাত্ররা নিজেদের পরিবারের সদস্য বলেই ভাবেন।

মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে নয়, সেই প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গে নিয়েই কিভাবে পথ চলা যায়, জীবনের প্রতিটি আনন্দ উপভোগ করা যায়, কুড়ি বছর ধরে বহু মানুষকে SHELTER তা শেখাচ্ছে। 
২০০৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া Best Institution Award, ২০১২ সালে শ্রী কপিল সিবালের হাত থেকে নেওয়া  10th AIWEFA Nina Sibal Memorial  Award, এসব তো আছেই, তবে আরো বড় পুরষ্কার বোধহয় ছাত্রছাত্রীদের আত্মবিশ্বাস, তাদের মুখের হাসি, তাদের হাতের কাজ, তাদের নিজেদের চিন্তাধারায় গড়ে তোলা দেওয়াল-পত্রিকা, তাদের মনের সৄষ্টির আনন্দ।

খুব ইচ্ছে ছিলো কয়েকজনের সাথে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার। কিন্তু সবাই তখন ওই উজ্জ্বল দিন ডাকে স্বপ্ন-রঙ্গিন, উঠো গো ভারতলক্ষ্মী, বন্দেমাতরম-এ এতই মগ্ন, যে, সেই মগ্নতায় ব্যাঘাত ঘটাতে মন চাইলো না। বাইরে অঝোরধারে বৄষ্টির কল্যাণে ছবি তোলার পরিকল্পনা-ও স্থগিত রইলো।  মনে মনে ঠিক করলাম এবারে এটুকুই থাক, সেপ্টেম্বরে বার্ষিক অনুষ্ঠান দেখতে আর দেওয়াল-পত্রিকার কথা জানতে আবার আসবো, বাকি রয়ে যাওয়া ইচ্ছেগুলো নাহয় সেদিনই মেটাবো!